গত কয়েকদিন অনেকেই বলছেন তার বানি হুট করে শরীর ঝাকি দিতে দিতে মারা যাচ্ছে।
কেন হচ্ছে এটা?
এটাকে বলা হয় হিটস্ট্রোক। যেটা প্রত্যেকটা প্রাণী জাতির মধ্যেই লক্ষ করা যায়। যেটাতে মৃত্যু ও খুব কষ্টদায়ক। আর হিটস্ট্রোক একবার করে ফেললে বাঁচানোর সম্ভাবনা ৫-১০%।
অর্থাৎ বাঁচানোই যায়না।
তবে হিটস্ট্রোক রোধ অবশ্যই করা যায়।
হিটস্ট্রোক করার মেইন কারণ হলো গরম।
আপনারা জানেন এখন অতিরিক্ত গরম পরছে। যার কারণে আপনার নিতে হবে খরগোশের এক্সট্রা কেয়ার।
১ঃ- খরগোশ কে অবশ্যই গরমে সপ্তাহে একদিন হালকা ভিজা কাপড় দিয়ে মুছে দিতে হবে এতে শরীর ঠান্ডা থাকবে।
২ঃ- স্যালাইন খাওয়াতে হবে। মোস্ট ইম্পোর্টেন্ট একটা পয়েন্ট। খরগোশ কে সপ্তাহে ২ দিন অবশ্যই দিনে ৫ গ্রাম স্যালাইন/গ্লুকোজ খাওয়ান।
৩ঃ- ঠান্ডা জায়গায় রাখুন। অর্থ্যাৎ রুমের ভিতরে রাখার চেষ্টা করুন।
৪ঃ- একটা নরমাল ঠান্ডা পানির বোতল খরগোশের থাকার জায়গায় রাখতে পারেন। এতে ওদের গরম লাগলে ওরা পানির বোতলে ঢেলান দিয়ে ঠান্ডা হতে পারবে।
৫ঃ- ২৪ ঘন্টা পানির পাত্র দিয়ে রাখুন
৬ঃ- সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। খাদ্য তালিকা। খরগোশ কে গরমে অবশ্যই চেষ্টা করুন তাজা ঘাস খাওয়াতে। সাথে মোট খাবারের ২০% কলমি শাক দিতে পারবেন। ৫% শসা দিবেন। কলমি ও শসায় থাকে পানি। তরমুজ দিতে পারেন সপ্তাহে ২-৩ দিন ৫%। এই খাদ্য গুলায় ওদের শরীরে পানিশুন্যতার ঘাটতি পূরণ হবে।
যা করবেন নাঃ
১ঃ- গোসল করাবেন না।
২ঃ- ভাত দিবেন না। সাথে উল্টাপাল্টা খাবার ও না
৩ঃ- এই সময় টায় ব্রিড করা থেকে বিরত থাকাটা দরকার।
৪ঃ- এসি রুমে না রাখার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন এসি মানুষের জন্য ও ক্ষতিকারক। সরাসরি ফ্যান/রোদের নিচে রাখবেন না।
হিটস্ট্রোক হলে বাঁচানো যায়না। তবে রোধ করা যায়।
তাই এই গরমে আপনার খরগোশ কে সুস্থ ও সবল রাখুন।
আপনিও সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন