প্রশ্নঃ খরগোশ এর মাইটস।
উত্তরঃ খরগোশ বা অন্যান্য গৃহপালিত প্রাণীর জন্য সবচেয়ে যে ভয়ংকর রোগ তা হলো মাইটস।
সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে যার পরিণাম মৃত্যু।
তবে এই মাইটস কি?
মাইটস হলো এক ধরণের পরজীবি যা প্রাণীর শরীরে বাসা বাধে এবং রক্ত চুষে।
উঁকুন টাইপেরই ধরে নিন তবে এগুলা কে খালি চোখে দেখা যায়না।
এরা এতটাই ক্ষুদ্র।
এটা শুধু খরগোশ বা অন্যান্য প্রাণী না বরং মানুষ কেও এটাক করতে পারে যা থেকে র্যাশ দেখা যায় শরীরে।
মাইটস কেন হয়?
মাইটস হওয়ার কয়েকটি কারণ আছে।
প্রথম ও শীর্ষ যে কারণ তা হলো অপরিষ্কার জায়গায় খরগোশ কে রাখা।
যাতে অতি সহজেই খরগোশের শরীরে মাইটস জন্ম নেয়।
দ্বিতীয়ত শীতকালে।
শীতকালেও মাইটসের এটাক বেড়ে যায়।
মাইটস এর লক্ষণ।
খরগোশের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় খুশকি দেখা যাবে। এবং কিছু কিছু জায়গায় সাদা ময়লার মত জমাট বেধে থাকবে।
খরগোশ ধীরে ধীরে দূর্বল হতে শুরু করবে।
মাইটস হলে কি করবেন?
প্রথম স্টেজে অর্থাৎ যখন খুব অল্প পরিমাণে মাইটস দেখা যাচ্ছে তখন নারিকেল তেল দিবেন দুই তিনদিন।
এতে করে মাইটস কমে যাবে আশা করি।
কিন্তু যদি বেড়ে যায় তাহলে ভ্যাটেনারী ডাক্তার দেখিয়ে অথবা অভিজ্ঞ কারো সাথে আলোচনা করে বয়স ও ওজন মেপে অবশ্যই ভার্মিক টিকা দিবেন।
আশা করি সুস্থ হয়ে যাবে।
মাইটসের প্রতিরোধঃ
খরগোশের থাকার জায়গা সবসময় পরিষ্কার রাখুন।
খরগোশের খাচার ভিতরে ছালা দিন।
খরগোশ কে সবসময় আবদ্ধ না রেখে ছেড়ে দিন।
ভাত সহ অন্যন্য ভুল খাবার দিবেন না।
কখনোই গোসল দিবেন না।
মাইটস ভয়ংকর বটে।
তবে সঠিক ভাবে পুষলে মাইটস হবেনা।
ধন্যবাদ।
-মোঃ মাহাদী হিমু
(এডমিন,র্যাবিট ওয়েলফেয়ার সোসাইটি অব বাংলাদেশ)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন