খরগোশ নিয়ে যে কোনো সমস্যায় আমাদের ফেসবুক গ্রুপে এড হন
গ্রুপের এর নামঃ-
গ্রুপের এর নামঃ-
Rabbit Welfare Society of Bangladesh
খরগোশ এর গোসল ।খরগোশ কে গোসল করানো যায় না তা না। কিন্তু গোসল করানোর কিছু জটিল প্রক্রিয়া আছে। যদি আপনি ভুল করেন তবে যে কোনো কিছু ঘটতে পারে। তাই গোসল না করানো ভালো। আমি ২০০৮ সালে ২ টা মেরে ফেলেছি ১ টার ঘাড় বাঁকা হয়ে গিয়েছিলো। পরে এক আপু কিছু টিপস দিয়ে ছিলো। তার পর থেকে এখনো র্যবিট এর গাঁয়ে পি এর গন্ধ হলে গোসল করায়। আল্লাহর রহমতে আর কখনো কিছু হয়নি। টিপস গুলো দিলাম কিন্তু প্লিজ কেউ বাসায় ট্রাই করবেন না। শুধু জেনে রাখুন১) সব থেকে গরম দিনে গোসল করাবেন না। যে দিন মাঝামাঝি গরম থাকবে সে দিন করান।২) গোসল এর আগে চিরুনি দিয়ে ভালোভাবে আচরিয়ে নিন। যাতে লোমে জটলা না থাকে। কারণ গোসল এর পরে এই জটলাতে পানি থেকে যাবে।৩) গোসল এর সাথে সাথে রোদে দিবেন না। আগে খুব ভালোভাবে গাঁ মুছে নিন। যখন দেখবেন মুছতে মুছতে ৮০% শুকিয়ে গিয়েছে তখন কিছুক্ষণ ছায়ায় রাখুন। তার তাপমাত্রা সাভাবিক হতে দিন। তার পরে রোদে দিন।৪) বালতিতে পানি ৫০% নিন। দুই পা, ঘাঁড়, মাথা বাহিরে থাকে এমন সাইজ এর বালতি নিন। গাঁয়ে ধিরে ধিরে পানি দিন। মাথা ও কানে পানি দিবেন না।গোসল এর ফলে র্যবিট মারা যায় না। মারা যায় ভয় পেয়ে, ঠান্ডা লেগে, কানে পানি ঢুকে। তাই এই দিকে খেলাল রাখতে হবে। যদি দেখেন বেশি ভয় পাচ্ছে তা হলে ছেড়ে দিন।
সজিনা পাতা খেতে দিন ।
কেনো আমরা খরগোশ কে সাজিনা পাতা খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়ে থাকি?
১) প্রতি গ্রাম সজনে পাতায় একটি কমলার চেয়ে সাত গুণ বেশি ভিটামিন সি, দুধের চেয়ে চার গুণ বেশি ক্যালসিয়াম ও দুই গুণ বেশি প্রোটিন, গাজরের চেয়ে চার গুণ বেশি ভিটামিন এ এবং কলার চেয়ে তিন গুণ বেশি পটাশিয়াম বিদ্যমান। ফলে এটি অন্ধত্ব, রক্তস্বল্পতা সহ বিভিন্ন ভিটামিন ঘাটতি জনিত রোগের বিরুদ্ধে বিশেষ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে।
এতে তাদের শ্রমজনিত ক্লান্তি, শরীরের ব্যথা ইত্যাদি দূর হয়।
২) সজিনা পাতার রস ও আদার রস এক সাথে মিশিয়ে র্যবিটকে খাওয়ালে পেটের গ্যাস দূর হয়।
৩) সজিনা পাতায় সব ভিটামিন থাকে তাই দোকান থেকে পেলেটস বা অন্য কোনো ভিটামিন খাওয়ানোর দরকার নাই?
৪) মা র্যবিটকে সজিনা পাতা খাওয়ালে দুধের পরিমান বাড়ে।৩) সজিনা পাতায় সব ভিটামিন থাকে তাই দোকান থেকে পেলেটস বা অন্য কোনো ভিটামিন খাওয়ানোর দরকার নাই?৪) মা র্যবিটকে সজিনা পাতা খাওয়ালে দুধের পরিমান বাড়ে।
সতর্কতাঃ- সাজিনা গাছ এর বীজ র্যবিটকে কখনোই খাওয়ানো যাবে না।
৫টি টিপস
৫ টি টিপস ১) র্যবিট এর কান ও চোখ তাদের মনোভাব প্রকাশ করে তাই আপনার র্যবিট এর এই দুইটা জিনিস কখন কেমন থাকে দেখুন। আর নোট লিখে রাখুন।২)সাপ্তাকে ১ বার আদার রস । ১৫ দিনে একবার রসুনের রস। ১ মাসে এক বার সিদ্ধ কাঁচা কলা দিন। পেট ১০০% ঠিক থাকবে। বেগুন, আলু খেতে চাইলে মাঝেমাঝে দিন। ৩) সাজিনা ও ইপিল ইপিল পাতা যেখানে পাবেন নিয়ে আনুন। এতে র্যবিট এর সকল ভিটামিন থাকে। ৪) পুদিনাপাতার রস নিয়মিত গায়ে মাখিয়ে দিন। এতে উকুন হবে না আর মশা মাছি কম হবে।৫) কলমি শাক যত কম দিতে পারবেন ততটাই ভালো। কলমি শাকে গ্যাস এর সমস্যা হয়।
খরগোশ কে সকল খাবার খতে দিবেন
খরগোশ এর জন্য বিভিন্ন ঘাস চাষ
ইপিল ইপিল
এ গাছ দক্ষিণ মেক্সিকো এবং উত্তর মধ্য আমেরিকার(বেলিজ এবং গুয়েতেমালা) ছোট দ্রুত বর্ধনশীল গাছ কিন্তু ইদানিং এটি গোটা উষ্ণ অঞ্চলে প্রাকৃতিকভাবে জন্মায়। এটির বহুমুখী ব্যবহারের কারণে একে অনেক সময় মিরাকল ট্রি বলা হয়। খরগোশ খাদ্য ইপিল ইপিল পাতা এবং ডগা।শীতকালে যখন ঘাসের আকাল চলে সেখানে খরগোশ এর জন্য খুব উপাদেয় খাদ্য হল ইপিল ইপিল গাছের পাতা ও কচি ডগা।ইপিল-ইপিল গাছের আরেক নাম সুবাবুল ।এটি মুলত আমেরিকান প্রজাতি হলেও বর্তমানে ভারতে গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে সেই তুলনায় বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে।
শীতকালে প্রকৃ্তিতে ঘাসের প্রকট সংকট সৃষ্টি হয়।এই সময় খামারীদের জন্য একটি স্থায়ী সমাধান হতে পারে ইপিল ইপিল।এই গাছের পাতা শুকিয়ে অনেক দিন পর্যন্ত সংরক্ষন করে গবাদি পশুকে খাওয়ানো যায়।
এছাড়া এই গাছের আরো অনেক বহুমুখী ব্যবহার রয়েছে। এখন ভাবুন এই গাছ আপনার জন্য কতটা উপকারী!আসুন এবার জেনে নিই কিভাবে এটি চাষ করতে হবে।
টবে চাষ ঃ- টবে চাষ করতে চাইলে বড় টব নিতে হবে। এবং গাছ ২ থেকে ৩ ফুট হলে এর ডাল কেটে খাওয়াতে হবে।
জমিতে চাষঃ-
ইপিল ইপিল চাষের জন্য কেমন জমি প্রয়োজন ?
রাস্তার ধারে, বাধের উপর,বাড়ির আশেপাশে অথবা সীমানা বরাবর অথবা যেখানে মন চাই সেখানে লাগাতে পারবেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন গাছের শিখড় মাটির অনেক গভীরে প্রবেশ করার সুযোগ থাকে। কারন স্বভাবগত ভাবে ইপিল ইপিল গাছের শিকড় মাটির গভীরে গিয়ে নিজের জন্য প্রয়োজনীয় পানি সংগ্রহ করে।এই কারনে অধিক গরম পড়লেও গাছটি নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পারে।কিন্তু কোন ভাবেই নিচু জমিতে এই ঘাস লাগানো উচিত নয়।কারন এই গাছটি জলবদ্ধতা একদম সহ্য করতে পারে না।
যে মাটিতে অম্লত্বের পরিমান বেশি সেই মাটিতে এই গাছ ভালো হয় না।তবে লবনাক্ততা কিছুটা সহ্য করতে পারে।এবার সিদ্ধান্ত আপনার, কোথায় লাগাবেন!
ইপিল ইপিল গাছের বীজ কখন কিভাবে সংগ্রহ করতে হয়?
ইপিল ইপিল গাছের বীজের খোলস বা পড যখন খয়েরী বা গাড় বাদামী রং ধারন করে সেই সময়টাই বীজ সংগ্রহ করার উপযুক্ত সময়।আরো নির্দিষ্ট করে বললে শীতের শুরুর দিক নভেম্বর থেকে মার্চ এই সময়টাই ইপিল ইপিল বীজ সংগ্রহ করার সময়। যেহেতু ইপিল ইপিল বীজ গরম সহনীয় নয় সেহেতু এই গাছের বীজ সীম সহ সংগ্রহ করার পর শুকিয়ে শুস্ক ও ঠান্ডা জায়গায় সংরক্ষন করতে হয়।ইপিল ইপিল বীজ এক সাথে না পাকার কারনে এই বীজ এক সাথে সংগ্রহ না করে অনেক দিন ধরে সংগ্রহ করতে হয়।
ইপিল ইপিল গাছের বীজ
কিভাবে বীজ শোধন, চারা প্রস্তুত এবং চারা রোপণ করবেন?
বীজ শোধনের প্রাথমিক ধাপে বীজকে ৮০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেট তাপমাএায় ৩মিনিট গরম পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে কারণ এতে ইপিল ইপিল বীজের শক্ত আবরণ অনেকটা নমনীয় হয়ে আসে। পরবর্তীতে গরম পানি ফেলে দিয়ে কয়েকবার স্বাভাবিক ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াতে শুকাতে কিংবা বপন করে ফেলতে হবে। এছাড়া অঙ্কুরোদগম দ্রুত করতে চাইলে বীজ বপনের পূর্বে ১২-২৪ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখা যায়।এভাবে বীজ তৈরী হয়ে গেলে এগুলোকে চারা তলায় পুততে হবে।
চারা প্রস্তুতকরনঃ
বীজ বপনকাল গ্রীষ্মকাল (মার্চ-এপ্রিল)। তৈরি বীজ বীজতলায় ১.২-১.৫সেঃ মিঃ মাটির নিচে ৫ সেঃমিঃ অন্তর অন্তর পুতে দিতে হবে।এছাড়া পলিথিন ব্যাগেও চারা তৈরী করা যায়,এক্ষেএে ৩ ইঞ্চি বাই ৭ইঞ্চি পলিথিন ব্যাগ হলে ভালো হয়।পলিথিন ব্যাগে হলে এক ব্যাগে দুটি বীজ দিতে হয় পরবর্তীতে চারা গজানোর পর ভালো চারাটি রেখে খারাপটি ফেলে দিতে হবে।বীজ বপনের ১০-১২ সপ্তাহ পরে চারা রোপনের উপযোগী হয়। এই সময় চারা ৮-১২ ইঞ্চি লম্বা হয়ে থাকে।
চারা রোপনঃ
চারা রোপন বর্ষা মৌসুমে করতে হয়।চারাগুলি ৮-১০ ফুট অন্তর অন্তর গর্ত করে লাগাতে হবে। উদ্দেশ্যের ভিন্নতার উপর নির্ভর করে ইপিল ইপিল এর রোপণ পদ্ধতিও ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।যেমন গবাদি পশুর খাদ্য ছাড়াও কেউ যদি একে বেড়া হিসেবে ব্যবহার করতে চাই, সেক্ষেএে বেড়া বরাবর ৩০ সেঃমিঃ/১ ফুট চওড়া করে কুপিয়ে লাইনে ঘন করে চারা রোপণ করতে হবে।
খাওয়ানোর নিয়মঃ
এ গাছের পাতাসহ কঁচি ডগা কেটে অন্য ঘাস বা খড়ের সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে।তাছাড়া ইপিল ইপিল গাছ যখন দুই হতে আড়াই হাত লম্বা হয় তখন খরগোশ /গরু/ছাগল কেটে খাওয়ানো যেতে পারে।
ফলনঃ
একক ভাবে ইপিল ইপিল চাষ করলে বছরে ৫-৬ বার কাঁচা ঘাস সংগ্রহ করা যায় এবং অনেক বছর ফলন পাওয়া যায়। এভাবে একর প্রতি বছরে ২৪-৩২ টন কাঁচা ঘাস পাওয়া যায়।
#খরগোশ #Rabbit #rabbit_help #Pet_rabbit #pet #bangladesh #Domestic_rabbit #rabbit_group #rabbit_care #rabbit_welfare_society_of_Bangladesh #banny #กระต่าย #خرگوش #兔子 #Kaninchen
#Conejos #खरगोश #أرانب #Konijnen #Rabագարներ #Dovşanlar #Untxiak #Трусы
#Zečevi #Зайци #Conills #Mga koneho #Akalulu #兔子 #Conigli #Zečevi #Králíci #Kaniner #Konijnen #Kunikloj #Küülikud #Mga kuneho #Kanit #Kanin_hoito #Soins_du_lapin #Rabbit_soarch #Coellos #კურდღელი #Kaninchen #Κουνέλια #સસલા #Lapen #Zomaye #Līpaki #ארנבים #Luav #Nyulak #Kanínur #Kelinci #Coiníní #Conigli #うさぎ
#Kelinci #ಮೊಲಗಳು #Қояндар #ទន្សាយ #Inkwavu #토끼들 #Коёндор #ກະຕ່າຍ #Lepores #Truši #Triušiai #Kanéngercher #Зајаци #Bitro #Arnab #മുയലുകൾ #Fniek #Rapeti #ससे #Туулай #ယုန် #Kaniner #ରାବଣ #Króliki #خرگوش #Coelhos #ਖਰਗੋਸ਼ #Iepuri #Кролики #Lapiti #Coineanaich #Зечеви #Mebutlanyana #Tsuro #හාවන් #Králiky #Zajci #Bakaylaha #Conejos #Kelenci #Sungura #Kaniner #Харгӯшҳо #முயல்கள் #Куян #కుందేళ్లు #กระต่าย #tavşanlar #Towşan #Кролики #توشقان #Quyonlar #Thỏ #Cwningod #Imivundla #ראַבאַץ #Ehoro #Onogwaja
কলমি শাক চাষঃ-
বাসার ছাদে খুব সহজেই কলমি চাষ করা যায়।যা যা লাগবেঃ-
১) টব বাড় বা মাঝারি।
২) ১ প্যাকেট গিমা কলমি।( ১০ গ্রাম)
৩) রোদ আছে এমন স্থান
যে ভাবে পাবেনঃ-
টব যেকোনো বাজারে পেয়ে যাবেন। কলমি বীজ পেতে একটু কষ্ট করতে হবে। ঢাকায় যেখানে বীজ বিক্রয় করে সেখানে গিয়ে বলবেন হাইব্রিড কলমি বীজ দিতে। এই বীজ গুলো ১০-১৫ টাকা নিবে প্রতি প্যাকেট।
গিমা কলমির চাষে সারের পরিমাণঃ-
ভালো ফলনের জন্য প্রতি শতকে গোবর সার ১.৫০ কেজি, ইউরিয়া সার ১০০ গ্রাম, টিএসপি সার ৫০ গ্রাম ও এমওপি সার ৩০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হয়। অর্ধেক ইউরিয়া বাদে সব সার টব তৈরির সময় প্রয়োগ করতে হবে। সেই অর্ধেক ইউরিয়া ১ম, ২য় ও ৩য় বার ফসল তোলার পর পরই সমান ৩ ভাগ করে উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
চাষ এর নিয়ম ঃ-
১) টব এর মাটি ৭ দিন আগে প্রস্তুত করুন।
২) প্রতি ১ টা টব এর জন্য ১৫ টা বীজ হিসেব করে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন।
৩) সকালে টবে সমান দূরত্বে ৫ টি ১৫ সেন্টিমিটার গর্ত করে প্রতি গর্তে ৩ টি করে বীজ দিয়ে মাটি দিয়ে দিন।
৪) ১০-১৫ দিন এর মধ্য শাক হয়ে যাবে। যখন র্যবিট কে শাক খাওয়াবেন তখন এমন ভাবে শাক নিবেন যাতে প্রতি গাছে ৪ বা আরো বেশি পাতা থাকে। তাহলে ৫/৭ দিন এর মধ্যে আবার শাক নিতে পারবেন ।
এই ভাবে ৩ থেকে ৪ মাস খাওয়াতে পারবেন
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন